যশোরের বেনাপোলে পোড়াবাড়ী নারায়ণপুর গ্রামে দুই পরিবারের মারামারির মাঝে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন শ্বশিভূষন বিশ্বাস (৭০) নামে এক প্রতিবেশী।
এই প্রবীণ শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণপুর গ্রামে বিনয় বিশ্বাস ও মনি ঠাকুরের পরিবারের মধ্যে মারামারি বাঁধলে তা দেখতে যান। ধাক্কাধাক্কির মাঝে পড়ে এক পর্যায়ে পাইপের আঘাতে তিনি প্রাণ হারান।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিনয় বিশ্বাস নামের একজনসহ সংশ্লিষ্ট ৬ জনকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নিহত শ্বশিভুষন বিশ্বাসের ছেলে বিপ্লব বিশ্বাস বলেন- বিনয় বিশ্বাস, ছেলে শুভংকর বিশ্বাস ও তাদের লোকজন মনি ঠাকুর ও তার স্ত্রী মামনি ঠাকুরকে মারছিলেন। বাবা বাধা দিতে গেলে বিনয় বিশ্বাস বাবাকে ধাক্কা দিলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় আমি দৌড়ে এসে বাবাকে তুলতে গেলে বিনয় বিশ্বাসের লোকজন আমাকে পাইপ দিয়ে মারতে থাকে। সে মারের আঘাত বাবার গায়েও লাগে। এসময় বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং মারা যান।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, নারায়ণপুর গ্রামে দুই পরিবারের মারামারির মাঝে পড়ে শ্বশিভুষন বিশ্বাস মারা গেছেন। ময়না তদন্তের জন্য লাশ যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিভাবে মারা গেছেন সেটা বলা সম্ভব হচ্ছেনা। বিষয়টা তদন্ত করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিনয় বিশ্বাস ও তার ছেলে শুভংকর বিশ্বাস, আব্বাস ও তার ছেলে বাবু, মনি ঠাকুর ও তার স্ত্রী মামনি ঠাকুরকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।